ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও আপনার কোম্পানির মার্কেটিং পলিসি | পিকেপিক্স মিডিয়া

সময়, পারিপার্শ্বিকতা, জীবন-যাপনের সাথে সাথে বদলে যায় যাবে মার্কেটিং ব্যবস্থাপনা এটাই স্বাভাবিক। তাই মার্কেটিং ব্যবস্থাপনা ফ্রেম বাঁধা কোন বিষয় নয়। বিগত কয়েক দশক ধরে বিশ্বের অধিকাংশ কোম্পানি মার্কেটিং ব্যবস্থাপনায় কার্যকর গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন কৌশল ব্যবহার করেছে।

লক্ষ লক্ষ টাকায় শুধু মাত্র একটি বিজ্ঞাপন নির্মান করে কোটি কোটি দর্শকদের মন জয় করেছে। কিন্তু বর্তমান শতাব্দীতে এ ধরণের প্রতিষ্ঠান সমূহ নতুন বাস্তবতার সম্মুখীন। তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নে গণবাজারের বিকল্প হিসেবে ক্রেতাদের সাথে নিবিড় সুসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট মার্কেটিং ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটেছে। টেলিভিশন, প্রিন্টিং ম্যাগাজিন এবং এ জাতীয় অন্যান্য গণমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে এদের আধিপত্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। মার্কেটিংয়ে কয়েকটি নতুন বিষয়ের বেশ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। গতানুগতিক নয় এবং আকর্ষণীয়তার কারনে অনেকেই মার্কেটিংয়ে ইভেন্টের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে।
১. গ্রাহকের ভৌগোলিক এবং মনস্তাত্ত্বিক বিষয় বিবেচনা করে ইভেন্ট নির্ধারিত হয়। সুনির্দিষ্ট গ্রাহক এবং সুনির্দিষ্ট অবস্থার প্রেক্ষিতে ইভেন্ট নির্দিষ্ট হয় যে কারনে কার্যত তার প্রভাব পড়ে। যেমন গ্রামীনফোনের ডিজুস অফার ইভেন্টে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
২. ইভেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকের সাথে ব্রান্ডিং সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যেমন ওয়ার্ল্ডকাপে কিংবা কোন বিশেষ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে স্পন্সরের মাধ্যমে কোন কোম্পানি সহজেই তার প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরতে পারে।
৩. বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে কোম্পানি সহজেই গ্রাহকের মনে অনুকূল ভাবমূর্তি তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি কোম্পানি সামাজিক ভাবেও দায়িত্ব পালনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে পারে।
৪. চমৎকার ভাবে কোন ইভেন্টের কার্যক্রম পরিচালিত হলে গ্রাহকের কাছে কোম্পানি বা পণ্যের ব্রান্ড নামের সচেতনতা বৃদ্ধির হয়। ব্রান্ডিং স্বীকৃতি আদায়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং পলিসি।
৫. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক অনুষ্ঠান, জাতীয় কিংবা আর্ন্তজাতিক অনুষ্ঠানের সাথে ইভেন্ট আয়োজন করলে কোম্পানির ব্রান্ড নামের পাশাপাশি বিক্রয়ে প্রভাব পড়ে।
এছাড়া প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভাবে আরো অনেক বিষয় ইভেন্টে উঠে আসে যার মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের আলাদা কন্ঠস্বর শোনা যায়। আরেকটি লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো ইভেন্ট এতো বেশী কার্যকর এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে কারনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম গড়ে উঠেছে যার মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইভেন্টের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যেন তা গণসচেতনা, কাঙ্খিত উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশিত প্রভাব তৈরিতে সক্ষম হয়। ইভেন্ট কাঙ্খিত গ্রাহককে বাজারের সাথে গভীর সম্পর্কে যুক্ত করে এবং মার্কেটিংয়ে সহায়ক হিসেবে কাজ করে সে ক্ষেত্রে সর্তকতা এবং দক্ষতার সাথে ইভেন্ট আয়োজন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া একটি ইভেন্টে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয় সে ক্ষেত্রে গঠনমূলক লক্ষ্য নিয়ে ইভেন্ট আয়োজন না করলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ থেকেই যায়।


Reactions